ফোর লেন প্রকল্প সওজ-এর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু


ডেইলি নিউজ প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ৫:৩০ অপরাহ্ন /
ফোর লেন প্রকল্প সওজ-এর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু

নড়াইল শহরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইল-যশোর সড়কে শহরের ভওয়াখালী ও রূপগঞ্জ এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ, খুলনা বিভাগীয় ষ্টেট ও আইন কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমান। এ সময় নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়কের অংশ হিসেবে শহরতলি মালিবাগ থেকে শহরের ভেতর দিয়ে সীতারামপুর পর্যন্ত ৫.৫০ কিঃমিঃ নড়াইল শহরাংশের সড়ক প্রশস্তকরণ ও ৪ লেনে উন্নীতকরণ” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। প্রশস্তকরণ কজে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার আওতায় শহরের ভওয়াখালী ও রুপগঞ্জ বাজারের ব্যক্তি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি মার্কেট, নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কয়েকটি মার্কেটও রয়েছে। এ মার্কেটগুলি বাঁচিয়ে কি ভাবে রাস্তা প্রশস্তকরণ করা যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের সাথে দীর্ঘদিন আলোচনা করেও কোন সমাধান হয়নি।

পরবর্তীতে এ সব মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা হাইকোর্টেও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এসেছেন। এ সব মার্কেট ভেঙ্গে দিলে কয়েকশত ব্যাবসায়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। ১শ ৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ কাজটি সম্পন্ন হবার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, প্রশস্তকরণের কাজ এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেয়া হলেও দখলদাররা জায়গা খালি না করায় এ অভিযান শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ৩টি পাকা স্থাপনা, কয়েকটি বাউন্ডারি ওয়াল, ১২টি টিনসেড দোকান এবং ৩০টির মতো ফুটপাতের কাঁচা অস্থায়ী ঘর রয়েছে। এখন অনেকেই নিজেরাই ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনা বিভাগীয় ষ্টেট কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপথের জায়গা কিছু লোক অবৈধ ভাবে দখল করে আসছিলো, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেই বেদখল জায়গাগুলি দখল মুক্ত করা হচ্ছে। এ অভিযান চলমান থাকবে। কোন স্থাপনা, মার্কেট বা দোকান হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেগুলো আইনী প্রক্রিয়া শেষে উচ্ছেদ করা হবে।